রজতাভ দত্ত রনির জীবন কাহিনী - Rajatava Dutta Rony Life Story
রজতাভ
দত্ত ভারতীয় বাংলা সিনেমার
বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয়
অভিনেতা। যিনি অসাধারন প্রানবন্ত
ও বৈচিত্রময় চরিত্র
অভিনেতা হিসাবে নিজেকে
প্রতিষ্টিত করেছেন তার ইউনিক
অভিনয় দক্ষতা দিয়ে এবং বর্তমানে
যার সফলতা আকাশ ছোয়াঁ । তাইতো
এখন ইন্ডাস্টির অন্যতম ব্যস্ত
অভিনেতা তিনি । বর্তমানে তিনি
জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি
শো মিরাক্কেলের বিচারক হিসেবে
কাজ করছেন ।
রজতাভ
দত্ত ১১ সেপ্টম্বর ১৯৬৭ সালে
পশ্চিম বঙ্গের মনিরামপুর
জেলার (অথাৎ
বর্তমিন বাংলাদেশের যশোর
জেলার) একটি
মধ্যবিত্ত সনাতন পরিবারে
জন্মগ্রহন করেন । তার পুরো
নাম রজতাব দত্ত তবে রনি হিসাবেই
তিনি সবার কাছে বহুল পরিচিত
। তার বর্তমান বয়স ৫১ বছল
,উচ্চতা
৫ ফুট ৫
ইঞ্চি, ওজন
৭২ কেজি,
ধর্ম-সনাতন
এবং তার রাশি হলো
সিংহরাশী
। রনি ছোট বেলাতেই
সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন
। তিনি বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ
বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে
মাধ্যমিক এবং ১৯৮৬ সালে
গোয়েঙ্কা কলেজ অব কমার্স
থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন
এবং ১৯৯০ সালে তিনি নেতাজি
নাগর কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশান
কম্পিট করেন । রনি সোমা দত্তকে
বিয়ে করেন । তাদের একটি কন্য
সন্তান রয়েছে ।
With Wife |
বড়
বড় অভিনেতাদের মতো স্কুলজীবন
থেকে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতেন
না রনি। গান শিখতেন। মন্দ
গাইতেন না। স্কুলে পড়ান সময়
বাবাকে হারান রনি । তখন মায়ের
উপর এসে পড়ল সংসারের জোয়াল।
মা, দাদা
আর ভাইয়ের সংসার। ফলে রনির
দিকে খুব বেশি সময় দেওয়ার সময়
ছিল না কারই। সুযোগটা
যতটা সম্ভব ব্যবহার করেছিলেন
রনি। তখন বন্ধুদের দল বড় হতে
লাগল, বন্ধুএর
সাথে ঘোরা আড্ডাবাজিতেই সময়
যেন তার । কিছুদিন রাজনীতিও
করেছেন সে সময়। তবে ‘সিরিয়াস’
রাজনীতি নয়। তার জীবন বদলাতে
শুরু করল স্নাতকস্তর পাশ করার
পর । কিছু ভাল বন্ধুর সংস্পর্শে
এলেন ঐ সময় । শুরু হল গ্রুপ
থিয়েটার চর্চা ১৯৭৬ সালে
পুরোদস্তুর থিয়েটার কর্মী
হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করলেন
রনি । শুরুতে অর্ন্তসন্ধানী
গ্রুপে জয়েন করেন এবং একে একে
কাজ করেন উশনিক,
স্বপ্নসন্ধানী,
নাট্যয়ান,
সংস্মৃতি,
লোককৃষি,
ভুপেনবোস
এভিনিউ কোরাস এবং বর্তমানে
কাজ করছেন নাট্যশালায় ।
Wth his doughter |
।
থিয়েটারের পাশাপাশি তখন একটি
কোম্পানিতে সেলসের চাকরিও
করতেন রনি । থিয়েটারের কারনে
বেশিদিন চাকরিটা টেকেনি নিজে
থেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন । ১৯৯৮
সালে রজতাব দত্ত প্রথম চলচিত্রে
অভিষেক করেন জুনিয়র আর্টিস্ট
হিসাবে “আজব গায়ের আজব কাথা”
চলচিত্রের মাধ্যমে । এরপর
২০০৬ সালে মিটুন চক্রবর্তীর
সাথে এমএলএ ফাটাকেস্ট ছবিতে
অভিনয় ছিল তার ক্যারিয়ারের
টার্নিং পয়েন্ট । এই ছবিতে
দূর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে
তিনি সবার নজরে আসেন । একই বছর
মিটুনের সাথে তুলকালাম এবং
টাইগার ছবি দুটিতে তার আনবদ্য
অভিনয় সবাই প্রশংসা করেন এবং
এর পর আর তাকে পেছনে ফিরে তিকিতে
হয়নি । একে একে অভিনয় করেছেন
অনেকগুলো ছবিতে । একজন কমেডি
এবং খল চরিত্র অভিনেতা হিসাবে
তিনি নিজেকে এমন এক জায়গায়
আসীন করেন যার তুলনা শুধুমাত্র
তার কাজই । তিনি চলচ্চিত্রে
একজন জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে
কাজ শুরু করেন এবং অল্প দিনের
মধ্যে খ্যাতির শীর্ষে আরোহন
করেন। য কোন চরিত্রে নিজেকে
মানিয়ে নেন এই গুনি অভিনেতা
এ যেন রনির এক আশ্চর্য ক্ষমতা
এবং এটাই তার ক্যারিয়ারকে
এগিয়ে যাবার মূল হাতিয়ার
হিসাবে কাজ করে ।
ছোট-বড়
মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায়
১৭০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয়
করেছেন রনি। সিরিয়ালের সংখ্যাও
কম নয়। তার উল্লেখ যোগ্য
সুপারহিট ছবিগুলো হলো,
পাগলু,
পাগল টু,
লে হালুয়া,
লাবেরিয়া,
চ্যালেঞ্জ,
পারমিতার
একদিন, রংবাজ,খিলাড়ি,
বস,
ফোরটুয়েন্টি,
গ্যাংস্টার,
বসগিরি,
নবাব,
বাজিমাত,
চালবাজ,
টোটাল
দাদাগিরি এবং কবির ইত্যাদি
। তিনি
কামিনের মত হিন্দি চলচ্চিত্রে
এবং মিস্টার এন্ড মিসেস
লায়ার-এর
মত ইংরেজি চলচ্চিত্রেও অভিনয়
করেছেন।
রনি
‘পারমিতার একদিন’ চলচ্চিত্রে
অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা
হিসাবে ২০০১ সালে বি.এফ.জে.এ.
অ্যাওয়ার্ড
লাভ করেন এবং সেরা খলনেতা
হিসাবে “এম.এল.এ.
ফাটাকেষ্ট
চলচ্চিত্রের জন্য ২০০৬ সালে
আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড লাভ
করেন ।
রনির
দুর্দান্ত,
ইউনিক
এবং ভিন্নধর্মী অভিনয় দক্ষতা
জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে
আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা অর্জন
করেছেন এবং কোটি দর্শকের হৃদয়ে
জায়গা করে নিয়েছেন।
লাইফ স্টোরি বাঙলার পক্ষ থেকে
তার ভবিষ্যত সাফল্য ও দীর্ঘায়ু
কামনা করছি।
ভিডিওটি
ভাল লাগলে অবশ্যই একটা লাইক
দিবেন কারন এটাই হলো আমার
অনুপ্রেরনা....এবং
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন
। পরবর্তীতে কার জীবন কাহিনী
দেখতে চান তা কমেন্টে জানাবেন
। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।
0 মন্তব্যসমূহ