খরাজ মুখার্জির জীবন কাহিনী - Kharaj Mukherjee Life Story
খরাজ
মুখার্জি ভারতীয়
বাংলা সিনেমার বর্তমান সময়ের
তুমুল জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা।
একাধারে তিনি গীতিকার,
সুরকার
এবং গায়ক ও । যিনি অসাধারন
রসালো প্রানবন্ত
ও
বৈচিত্রময় অভিনেতা হিসাবে
নিজেকে ইতিমধ্যে প্রতিষ্টিত
করেছেন এবং বর্তমানে যার সফলতা
আকাশ ছোয়াঁ । তাইতো এখন ইন্ডাস্টির
অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা তিনি
। পৃথিবীর সমস্ত বাংলা ভাষাভাষি
মানুষের কাছে খরাজ মুর্খাজী
খুবই পরিচিত একটা মুখ তার
কমেডি অভিনয়ের জন্য ।
খরাজ
মুখার্জি ৭
জুলাই ১৯৬৩ সালে কলকাতার
রামপুরহাটে জন্মগ্রহন করেন
। তার পুরো খরাজ মুখোপধ্যায়
তবে সবাই তাকে খরাজ
মুখার্জি
নামে চিনেন । তার বর্তমান বয়স
৫৫ বছল ,উচ্চতা
৫ ফুট
৬
ইঞ্চি,
ওজন
৭০ কেজি,
ধর্ম-সনাতন
এবং
তার রাশি হলো কর্কট
রাশী
।
তিনি
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা
থেকে পড়াশেনা শেষ করেন । কলেজে
পড়ার সময় থিয়েটারে অভিনয় করা
শুরু করেন । কলেজ জীবন শেষ
করেই তিনি ভারতীয় রেলওয়েতে
চাকুরীতে যোগ দেন । খরাজের
একমাত্র ছেলে বিহু মুখ্যার্জি,
তাকেও
অভিনয় শেখাচ্ছেন খরাজ ।
ছোট
বেলা থেকেই খরাজ মূখার্জির
থিয়েটারের প্রতি খুব ঝোক ছিল
। বলতে গেলে জীবনে রীতিমতো
লড়াই করে সাফল্য ছিনিয়ে নেওয়া
এই টলিউড অভিনেতার নাম খরাজ
মুখোপাধ্যায়। ভারতীয় রেলের
চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে
দীর্ঘ ১৩ বছর চাকরি করার পর
পাকাপাকিভাবে সেই চাকরি ছেড়ে
দিয়ে চলে আসেন অভিনয় জগতে।
কাঁধের ওপর সংসারের বোঝা নিয়েও
সরকারি চাকরি ছেড়ে সাহস দেখান
অভিনয় করে জীবিকা নির্বাহ
করার। প্রথমে অভিনেতা রমাপ্রসাদ
বনিকের দলে নাটক,
তারপর
থিয়েটার করতে করতে পা রাখেন
ছোট পর্দায়। প্রথম ধারাবাহিকে
অভিনয় করেন ‘রাজেশ্বরী’তে।
তারপর ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’।
তার
কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক
জীমূতবাহন
সেনগুপ্ত এর প্রস্তাবে ১৯৮০
সালে অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়
এর পরিচালনায় ‘হুলস্থুল’
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে
তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে যাত্রা
শুরু করেন। এই ছবিতে তার
প্রারিশ্রমিক ছিল মাত্র ১৮০
টাকা । মাত্র পাচ থেকে ছয়টি
ডায়লগ ঠিল ছবিতে । এই ছবিতে
কাজ করার পর লম্বা বিরতি ছিল
কারন এই পাচ ছয় লাইনে অভিনয়
করে তো আর কনটিনিউ অভিনয় করা
বা অফার পাওয়া যায় না । বড়
পর্দায় তখন কেউই খরাজ মুখোপাধ্যায়কে
চিনতেন না । ‘বড় পর্দায় কাজের
জন্য প্রথমে তিনি পরিচালক
স্বপন সাহার কাছে যান । কিন্ত
তিনি প্রথম দিনেই মুখের ওপর
বলে দেন,
কাজ
নেই ভাই। তবুও হাল না ছেড়ে
প্রতিদিন স্বপন সাহার অফিসের
সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতেন
খরাজ । বারবার স্বপন সাহা
ফিরিয়ে দিয়েছেন,
তবু
হাল ছাড়েন নি,
নিজের
মধ্যে একটা জেদও তৈরি হয়েছিল
তখন ,
চলচিত্রে
অভিনয় করতেই হবে যে কোন উপায়ে
। এভাবেই একদিন স্বপন সাহার
ছবিতে কাজ পেয়েজান। এরপর স্বপন
সাহার পরপর সাতটি ছবিতে অভিনয়
করেন । ২০০৩ সালে পাতালঘর
চলচিত্রে অভিনয়ই ছিল তার
ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট
। ছবিতে তার অভিনয় খুব প্রশংশিত
হয় ।
ছোট-বড়
মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায়
১০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয়
করেছেন খরাজ । সিরিয়ালের
সংখ্যাও কম নয়।
তার
উল্লেখ যোগ্য সুপারহিট ছবিগুলো
হলো,
পার্টনার,
চ্যালেঞ্জ,
পাগলু
টু,
লে
হালুয়া,
আওয়ারা,
চেলেঞ্জ
টু,
বচ্চন,
বেশ
করেছি প্রেম করেছি,
জামাই
৪২০,
হিরোগিরি,
পাওয়র,
বাদশাহ
দা ডন,
শিকারি,
লাভ
এক্সপ্রেস,
অভিমান,
হরিপদ
বেন্ডওয়ালা,
বসটু,
তোমাকে
চাই,
আমি
যে কে তোমার ইত্যাদি ।
তিনি
কাহিনির মত হিন্দি চলচ্চিত্রেও
অভিনয় করেছেন।
২০০৪
সালে পাতালঘর চলচ্চিত্রের
জন্য মুখার্জী বেঙ্গল ফিল্ম
জার্নালিস্টস'
অ্যাসোসিয়েশন
– সেরা পুরুষ প্লেব্যাক পুরস্কার
লাভ করেন।
অভিনয়ের
আইকন হিসেবে খরাজ দিকপাল
অভিনেতা তুলসি চক্রবর্তী ও
রবি ঘোষকে অনুসরণ করেছেন।
তাঁদের অভিনয়ের ওপর আধুনিকতার
মোড়ক লাগিয়ে আজ নিজের এক নিজস্ব
অভিনয় ঘরানা তৈরি করেছেন তিনি।
আজ নিজেই স্বীকার করেন,
তাঁর
মধ্যে একটা দ্বৈত সত্ত্বা
কাজ করে। একটা খরাজ,
শহরের
শিক্ষিত দর্শকদের কাছে যেমন
জনপ্রিয়,
তেমনি
অন্য খরাজকে গ্রামের হাজার
হাজার মানুষ মাথায় করে রেখেছেন।
প্রায়
সময় খরাজ মুর্খাজী বলে থাকেন
তার জীবনে কোনো আফসোস নেই।
তিনি শুধু বাংলা ছবিকে ভালোবেসে
এগিয়ে যেতে চান’ ।
খরাজ
মুখার্জির প্রানবন্ত দুর্দান্ত,
ভিন্নধর্মী
কমেডি অভিনয় দক্ষতার জন্য
নিজেকে এমন এক উচ্চতায় আসীন
করেছেন যার তুলনা তিনি নিজেই
। লাইফ স্টোরি বাঙলার পক্ষ
থেকে তার ভবিষ্যত সাফল্য ও
দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ভিডিওটি
ভাল লাগলে অবশ্যই একটা লাইক
দিবেন কারন এটাই হলো আমার
অনুপ্রেরনা....এবং
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন
। পরবর্তীতে কার জীবন কাহিনী
দেখতে চান তা কমেন্টে জানাবেন
। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।
1 মন্তব্যসমূহ
কলকাতা তে কোথায় আছে
উত্তরমুছুন