চিত্রনায়ক রিয়াজ এর জীবনী - Actor Riaz Biography
রিয়াজ বাংলাদেশের চলচিত্রের একজন অন্যতম গুনী অভিনেতার নাম। তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে
চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অনন্যা অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র
অভিনেতা ক্যাটাগরিতে
তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পূরস্কারে ভূষিত করেন এবং এছাড়াও তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা ।
অভিনেতা রিয়াজ যার পুরো নাম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ । রিয়াজ
১৯৭২ সালে ফরিদপুর জেলা সদরের
কমলাপুর মহল্লার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে
জন্মগ্রহণন
করেন । তাঁর বাবা জাইনুদ্দিন
আহমেদ সিদ্দিক ছিলেন সরকারি অফিসের একজন কর্মকর্তা;
মা মরহুম আরজুমান্দ আরা বেগম ছিলেন গৃহিণী। ২ ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে রিয়াজ পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে ফরিদপুর শহরের সিএনবি
স্টাফ কোয়ার্টার্সের চৌহদ্দিতে । রিয়াজ তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু
করেন ১৯৭৭ সালে ফরিদপুর জেলা সদরে অবস্থিত তারার মেলা উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে
। পরে ফরিদপুর ময়েজউদ্দীন হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে থেকে এইচএসসি পাশ করেন।এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে বিএসসি ডিগ্রি অজন করেন করেন।
ছোট বেলায়
রিয়াজের ইচ্ছা ছিল স্থপতি হবেন, পরে
পরিবারের বড়দের উৎসাহে যশোরে বিমানবাহিনীতে
ভর্তি পরীক্ষা দেন এবং উত্তীর্ণ হন। যথাযথ
প্রশিক্ষণ শেষে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিমানচালক হিসেবে যোগদান করেন। বৈমানিক হিসাবে তিনি একটি জেট ফাইটারে মোট ৩০০
ঘণ্টা উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন। তিনি
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অধীনে তুরস্ক গিয়ে
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ১৯৯৩ সালে বিমানবাহিনী থেকে
চাকরিচ্যুত হন।
চাকরিচ্যুতির পর তিনি ঢাকা শহরে পাড়ি জমান এবং চাচাতো বোন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
ববিতার হাত ধরে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে একজন অভিনেতা হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করেন ।
রিয়াজ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন নায়িকার সাথে জুটি বেঁধে দীর্ঘদিন
একসাথে অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলো শাবনূর ও পূর্ণিমা। অনেক দিন
একসাথে কাজ করার ফলে সখ্য গড়ে উঠে এই দুই অভিনেত্রীর সাথে। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সময়ে
চলচ্চিত্রাঙ্গনে রিয়াজ-শাবনূরের প্রেমের খবর প্রকাশ হতে থাকে। এমনকি তাদের প্রেম ও
গোপন বিয়ের খবর ঝড় তুলেছিল ২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত চলচ্চিত্র এবং এ অঙ্গনের বাইরে।এছাড়া
পূর্নিমার সাথেও তার সম্পর্কের খবরও কিছুদিন লোকমুখে শোনা গিয়েছিল।সকল গুনজনকে পিছনে
ফেলে রিয়াজ ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৪-এর
বিনোদন বিচিত্রার ফটো সুন্দরী বিজয়ী মডেল মুশফিকা তিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ
হন। বিয়ের প্রায় আট বছর পর ২০১৫ সালের ১ জুন তিনি কন্যা সন্তানের পিতা হন।তার মেয়ের নাম আমেরা সিদ্দিকী । রিয়াজ
বর্তমানে স্বপরিবারে ১নাম্বার বনানী এয়ারপোট রোড, বনানিতে বসবাস করছেন ।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ২০০৬ সালে
মুক্তিপ্রাপ্ত হৃদয়ের কথা চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন। বর্তমানে রিয়াজ চলচ্চিত্রে
অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকার বনানীতে ইয়েস কর্পোরেশন নামে একটি কোমল পানীয়
উৎপাদনকারী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও হাউজিং কোম্পানি
আশিয়ান গ্রুপ-এর পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
রিয়াজের নিজ পরিবারের কেউ অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও
তাঁর তিন চাচাতো বোন কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, ফরিদা আক্তার ববিতা ও গুলশান আরা চম্পা
বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৯৪ সালে তিনি চাচাতো বোন ববিতার সাথে বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-তে ভ্রমণে এসে প্রয়াত অভিনেতা-প্রযোজক জসিম-এর
নজরে পড়েন। জসিম যখন তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন তখন তিনি অভিনয় সম্পর্কে কিছুই
জানতেন না। এক্ষেত্রে ববিতা তাঁকে উৎসাহিত করেন, কিন্তু তাঁর মা ছিলেন ধর্মভীরু, তাই
তার মাকে রাজি করাতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল। অবশেষে চাচতো বোন নায়িকা ববিতার হাত
ধরেই পরিচালক দেওয়ান নজরুল এর “বাংলার নায়ক” ছবিতে অভিনয়ের
মাধ্যমে চলচিত্র জগতে পদার্পণ করেন রিয়াজ ।
নায়ক রিয়াজ এখন পর্যন্ত ১৩০টিরও বেশি
চলচিত্রে অভিনয় করেছেন । ১৯৯৫ সালে প্রথম চলচিত্র ‘বাংলার নায়ক”
ব্যবসা সফল চলচিত্র । যদিও
প্রথম চলচ্চিত্রটি তাঁকে প্রশন্ত সুনাম প্রদান করেনি।
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে রিয়াজ খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার দিলীপ
বিশ্বাস-এর অজান্তে এবং মোহাম্মদ হোসেন-এর প্রিয়জন-এ অভিনয় করার সুযোগ লাভ করেন।
"প্রিয়জন"ই একমাত্র চলচ্চিত্র যাতে রিয়াজ অকালপ্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহের
সাথে অভিনয় করেন। এছাড়াও মতিন রহমান এর পরিচালনায় মন মানে না ছবির প্রায় ৫০ ভাগ
কাজ শেষ করেন সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে দিলীপ বিশ্বাস এর সাথে ছবির শুটিং দেখতে
আসা রিয়াজ পরে সালমানের পরিবর্তে এই ছবিতে অভিনয় করেন। কারণ এর প্রায় তিন মাস পর
সালমানের মৃত্যু ঘটে। এবং এটিই রিয়াজ-শাবনূর জুটি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র।
১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত প্রাণের চেয়ে প্রিয়
চলচ্চিত্রটি বাণিজিক্য ভাবে সফলতা লাভ করে এবং এই চলচ্চিত্রটি রিয়াজকে রাতারাতি খ্যাতির
চূড়ায় পৌঁছে দেয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে রিয়াজের আসনটি মজবুত হয়ে
যায়। এ চলচ্চিত্রের "পড়েনা চোখের পলক"
গানটি তাঁকে তরুণ-তরুণীদের হার্টথ্রবে পরিণত করে।
একই বছরের ১১ নভেম্বর মুক্তি লাভ করে মতিন রহমান নির্মিত
মন মানেনা, যেটি রিয়াজ-শাবনূর জুটির প্রথম চলচ্চিত্র এবং এটি সুপার হিট হয়। শাবনূরের
সঙ্গে রিয়াজের দ্বিতীয় ছবি আবিদ হাসান বাদল পরিচালিত তুমি শুধু তুমি ।
এ বছর মোট ৭টি চলচিত্র মুক্তিপায় যার সবগুলোই ব্যবসা সফল
ছিল এবং প্রানের চেয়ে প্রিয় ছবেতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ট অভিনেতা হিসাবে মেরিলপ্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন ।
এর পর ১৯৯৮ সালে রিয়াজ অভিনিত ৫ চলচিত্র মুক্তিপায় ।
১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় আরও ৫টি চলচিত্র এবং বিয়ের ফুল ছবিতে প্রথম বারের মত
নায়ক শাকিল খানের সাথে অভিনয় করেন যা ব্যপক দর্শক জনপ্রিয়তা পায় ।
২০০০ সালে মুক্তিপায় ১০ টি চলচিত্র এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছবি ছিল হুমায়ুন
আহমেদ পরিচালিত দুইদুয়ারী যাতে তার সহ শিল্পি ছিলেন পরিচালক সহধর্মীনী মেহের আফরোজ
শাওন এবং এই ছবিতে চমৎকার অভিনয়ের জন্য তার ক্যারিয়ারের প্রথম বারের মত জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার লাভ
করেন ।
১০১১ সালে রিয়াজ অভিনিত ১১টি ছবি মুক্তি পায় । এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য
সুপারহিট ছবি ছিল পরিছালক দেবাশীষ বিশ্বাসের শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ
এবং গাজী মাহবুবের প্রেমের তাজমহল ছবি দুটি।
উভয় ছবিতে অভিনয়ের জন্য রিয়াজ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে মেরিল-প্রথম আলো পূরস্কার লাভ করেন ।
২০০২ সালে মুক্তি পায় আরও ১০টি চলচিত্র । ২০০৩ সালে আরও ৯টি ছবি মুক্তি পায়
রিয়াজের এবং এগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছবি ছিল, যৌথ প্রজোজনার ছবি মতিউর রহমান
পানুর মনের মাঝে তুমি । ছবিটি সপারহিট হয় এবং এ ছবিতে অভিনয়ের
জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে মেরিল-প্রথম
আলো পূরস্কার লাভ করেন । এবং গুন্ডার প্রেম চলচ্চিত্রটিও দর্শক মহলে দারুন জনপ্রিয়তা
অর্জন করে। উল্লেখ্যে যে রিয়াজ অভিনিদ এ ছবিটি কালা মানিক নাম দিয়ে ২০০৫ সালে পুনরায়
মুক্তি দেওয়া হয় যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের দীর্ঘ ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত ঘটনা।
২০০৪ সালে মুক্তি পায় আরও ৭টি চলচিত্র ।
মেঘের পরে মেঘ, রং নাম্বার, শ্যামলছায়া , টক ঝাল মিষ্টি, শাস্তি সবগুলোই
ছিল সুপাটহিট ছবি এবং চাষী নজরুল ইসলাম
ইসলামের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর গল্প অবলম্বনে নির্মিত শাস্তি চলচিত্রটিতে
অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে মেরিল-প্রথম
আলো পূরস্কার লাভ করেন ।
২০০৫ সালে আরও ৭টি ছবি মুক্তি পায় যার মধ্যে কোহিনুর আক্তার সুচন্দার পরিচালনায় জহির রায়হান-এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত
চলচ্চিত্র হাজার বছর ধরে ঐবং সালাইদ্দীন
লাভলুন মোল্লা বাড়ীর বউ ছিল উল্লেখ যোগ্য দর্শক নন্দিত চলচিত্র । হাজার বছর
ধরে ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে মেরিল-প্রথম
আলো পূরস্কার লাভ করেন ।
২০০৬ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ছিল ৬টি এবং এর মধ্যে এস এ হক অলিক পরিচালিত এবং রিয়াজ প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত “হৃদয়ের কথা” যা
ব্যাপক জনপ্রিয় হিট ছবি । এ ছবিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে মেরিল-প্রথম
আলো পূরস্কার লাভ করেন ।
২০০৭ সালে ৫টি চলচিত্র মুক্তি পায় এবং তৌকির আহমেদ পরিচালিত
দারুচিনি দ্বীপ ছবিতে চমৎকার অভিনয়ের জন্য
২য় বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ।
২০০৮ সালে চন্দন চৌর্ধরীর কি
জাদু করিলা চলচিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩য় বারের মত
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন । এ বছর রিয়াজ অভিনিত
ছবির সংখ্যা ছিল ৮টি ।
২০০৯ সালে ১০টি এবং ২০১০ সালে ৩টি ছবি মুক্তি পায় এবং ২০১১ সালে শাহজাহান
চৌধুরী পরিচালনায় রাবেয়া খাতুন-এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র মধুমতি তে আনু চরিত্রে চমৎকার
অভিনয় করেন এবং এরজন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন
পান। ২০১১ সালের পর থেকে নায়ক রিয়াজকে তেমন বেশি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি এরপরবর্তীতে
২০১২, ১৩, ১৪ ১৫ সালে ১টি করে ছবি মুক্তি পায় এবং সর্ব শেষ ২০১৬ সালে অভিনয় করেন ,
ওয়াজেদ আলী সুমন এর সুইটহার্ট,সালাউদ্দিন লাভলুর জনমে
জনমে এবং হুমায়ুন আহমেদ-এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র মেহের আফরোজ শাওন পরিচালিত
কৃষ্ণপক্ষ তে ।
রিয়াজ বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত
পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রিয়াজ ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ
মাঞ্জরেকারের ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট নামে একটি ইংরেজী চলচ্চিত্রে অভিনয়
করেছেন। এই চলচ্চিত্রে রিয়াজ বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সাথে কাজ করেছেন।
নানা
মাধ্যম ও কাজে সক্রিয় অভিনেতা রিয়াজ চ্যানেল আইয়ের হ্যান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় মৌসুমে প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিনেতা রিয়াজ চলচিত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশান
নাটক ও টেলিফিল্মে কাজ করেছেন । এ পযর্ন্ত প্রায় ৭১টি নাটকে অভিনয় করেছেন এ গুনি
অভিনেতা যা কিনা বাংলাদেশের কোন চলচিত্রের নায়কের অভিনয় করা সর্বোচ্চ সংখ্যক নাটক
। এছাড়াও তিনিই একমাত্র অভিনেতা যিনি বাংলাদেশের সাহিত্য নির্ভর ১১টি চলচিত্রে
অভিনয় করেছেন । এগুলো হলো দুই দুয়ারী (২০০০), সুন্দরী
বধু (২০০২), মেঘের পরে মেঘ, শ্যামল ছায়া ও শাস্তি (২০০৪), হাজার বছর ধরে (২০০৫), খেলাঘর
ও বিদ্রোহী পদ্মা (২০০৬), দারুচিনি দ্বীপ ও একজন সঙ্গে ছিল (২০০৭) এবং মধুমতি (২০১১)।
এছাড়াও রিয়াজ
বিকল্প ধারার কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন যেমন টক ঝাল মিষ্টি (২০০৪), না বোলনা
ও বকুল ফুলের মালা (২০০৬), মেঘের কোলে রোদ, কি যাদু করিলা ও চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮), এবাদত
(২০০৯), কুসুম কুসুম প্রেম (২০১১) ইত্যাদি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২০১৭ তে নায়ক রিয়াজ মিশা সওদাগরের
প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে ৩২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত
হয়েছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরে যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে
বেশ আলোচনা সমালোচনার মধ্যে ছিলেন এই চিত্র নায়ক । গত ঈদে শাকিব খানের নবাব এবং ওপার বাংলার নায়ক জিৎ এর বসটু যৌথ প্রযোজনার
২টি ছবি বাংলাদেশে যৌথ প্রযোজনার নিয়ম না মেনে চলানোর কারনে মিশা, জায়েদ প্যানেল যৌথ
প্রযোজনার ছবির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে নামেন এতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এ অভিনেতা
যার জন্য আলোচনা এবং সমালেচনার কমতি ছিলনা এর ফলে আন্দোলনের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
প্রদর্শক সমিতি ২৬ জুলাই ২০১৭ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে মিশা সওদাগর,খোরশেদ আলম খসরুর
ও রিয়াজের ছবি কোন পেক্ষাগৃহে চালাবেন না বলে তাদেরকে বয়কট করেন ।
চিত্র নায়ক রিয়াজ
গত ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের সিনেমাকে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল হিট সুপারহিট চলচিত্র
, তিনি তার মেধা, দক্ষতা এবং প্রানবন্ত শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে বাংলাদেশের চলচিত্র প্রেমিদের
হৃদয়ে এক অনন্য উচ্চতায় নিজেকে আসীন করেছেন যা তুলনা তিনি নিজেই ।চলচিত্রের নোংরা রাজনীতি
থেকে নিজেকে সরিয়ে তিনি বাংলার সিনেমা প্রেমী তার কোটি দর্শকদের ভাল সিনেমা উপহার দিতে
থাকেন আমারা এই কামনা করি এবং লাইফ স্টোরি বাংলার পক্ষ থেকে এই গুনী অভিনেতাকে জানাই
স্যালুট এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করি ।
0 মন্তব্যসমূহ