অনন্ত জলিলের অজানা ২২টি তথ্য | 22 Facts About Ananta Jalil



অনন্ত জলিলের অজানা ২২টি তথ্য | 22 Facts About Ananta Jalil

বর্তমান চলচ্চিত্র অঙ্গনের আলোচিত নাম এম এ অনন্ত জলিল। ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করেন তিনি। আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই তারকা চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রবেশের সাথে সাথে যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তিনি একমাত্র তারকা যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে অন্ধকার সময় থেকে আলোর ভুবনে ফিরিয়ে এনেছেন। বাংলাদেশের ডিজিটাল চলচিত্রের প্রবক্তা, উদ্দ্যোক্তা অনন্ত জলিল । বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সুপারম্যান বললেও কিন্তু কম হয়ে যাবে। আজ তিনি নতুন প্রজন্মের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। তার সিনেমা কেবল তরুণদেরকেই নয় হলে আন্তে সক্ষম হয়েছে সব বয়সের দর্শককেও। তিনি এমন একজন মানুষ যিনি ব্যবসা বলেন, চলচিত্র বলেন , সামাজিকাতা, মানবিকাতা সব ক্ষেত্রেই অসম্ভব কে সম্ভব করে চলেছেন । তাই আজকে আমারা এই মানবিক গুনী মানুষের কিছু অজানা তথ্য জানেবো ।চলুন শুরু করা যাক____।



(১) অনন্ত জলিল মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে ওঠেন ঢাকার শুক্রাবাদে।



(২)মাত্র পাঁচ বছর বয়সে এই অভিনেতার মা মারা যান এবং তখন থেকেই বাবা ও এক ভাইকে নিয়ে তার সংসার।



(৩) ছোট বেলায় খুব দুষ্টু প্রকৃতির ছিলেন আনন্ত জলিল । অনন্তের পুরো নাম আব্দুল জলিল , এক সময় গৃহশিক্ষকের অনুপ্রেরণায় বাবা অনন্তের নাম রেখে দেন “আবদুল জলিল”। পরবর্তীতে উনার বড় ভাই ডাক নাম রাখেন “অনন্ত”। এই নামটি উনার খুব পছন্দ হয়। যে কারণে এখন অনন্ত জলিল নামেই সকলে তাকে চিনেন ।



(৪)অনন্ত ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ‘এ’এবং ‘ও’ লেভেল পাশ করার পাশাপাশি বিবিএ এবং পরবর্তীতে ম্যানচেস্টারের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে কোর্স করেন।



(৫) অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ৩টি এতিমখানা করেছেন। মিরপুর ১০ নং , বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এছাড়াও তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরে অবস্থিত বায়তুস শাহ জামে মসজিদ এর নির্মাণকাজেও অবদান রাখেন। বর্তমানে ধল্লাগ্রামে সাড়ে ২২ বিঘা জায়গার উপর নির্মান করতে যাচ্চেন একটি বৃদ্ধাআশ্রম , ১টি মসজিদ, ৫০ বেডের হসপিটাল, ১টি স্কুল যেখানে প্রাইমারী থেকে হাইস্কুল পর্যন্ত পড়তে পারবে অসহায় ছাত্রছাত্রী এবং থাকবে স্কুলের ছাত্রদের থাকার জায়গা যেখানে সবকিছু থাকবে ফ্রীতে। বাজেট হলো ১০০ কোটি টাকা ।



(৬)এম এ জলিল অনন্তর পূর্ব পরিচয় হলো, তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ১৯৯৯ সাল হতে তিনি এজেআই গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজারের পদে কাজ করে আসছেন। সাভারের হেমায়েতপুরে বিশাল জায়গা জুড়ে তিনি গড়ে তুলেছেন এজেআই গ্রুপ। তিনি ৯ বার আইকনিক বিজনেস ম্যানের খেতাব ও জিতেছেন এবং ২০১৪ সালে আরএমজি সেক্টরে অবদানের জন্য তিনি সিআইপি (Commercially Important Person) স্টেটাসে ভূষিত হন । এছাড়াও দেশের এক্সপোর্ট খাতে আবদানের জন্য তিনি প্রধান মন্ত্রীর কাছ থেকে তিন বার এক্সপোর্ট ট্রফিও অর্জন করেন ।



(৭) প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি কাজ তিনি নিজ হাতে তদারকি করেন। প্রতিটি পণ্য তিনি নিজে দেখেন এবং এর পরেই তা বাজারজাত করা হয়।



(০৮) শ্রমিকদের সুবিধা অসুবিধা তাকে বুঝিয়ে বললে তিনি কখনই ফিরিয়ে দেন না তাদেরকে। ফ্যাক্টরির শ্রমিকদেরকে প্রতিদিন নাস্তার জন্য ২৫ টাকা করেও বরাদ্দ করে দিয়েছেন এই নায়ক। শুধু তাই নয়, রোগশোকে সবসময় শ্রমিকদের সহায়তা করে থাকেন তিনি।



(৯) প্রথম সিনেমা "খোঁজ- দ্যা সার্চ" তেমন ব্যবসা সফল না হলেও পরবর্তীতে ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’ এবং ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ধারণা করা হয় এই তারকার ব্যক্তিগত জীবনের আলোকেই তৈরি করা হয়েছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সিনেমাটি।



(১০) স্ত্রী এবং সহ অভিনেত্রী বর্ষার হাতে রান্না করা পায়েশ খেতে খুবই ভালোবাসেন এই তারকা।



(১১) ব্যবসায়ী হলেও প্রকৃত জীবনে বেশ রোমান্টিক অনন্ত জলিল। একটি অনুষ্ঠানে সাবাইকে তাক লাগিয়ে বর্ষার উদ্দেশ্যে গানও করেন এই নায়ক।



(১২) ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দয়ালু এই অভিনেতা। তার কাছে এসে কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা যায়নি। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।



(১৩) সুদর্শন এই হিরো লম্বায় ৫.৭ ফিট এবং ওজন ৭২ কেজি।



(১৪) আপাদমস্তক এই ব্যবসায়ী ২০০৮ সালে ঠিক করেন যে সিনেমা তৈরি করবেন এবং সেই লক্ষ্যেও নেমে যান। স্থাপন করেন মুনসুন ফিল্মস প্রোডাকশন।



(১৫) ২০১৪ সালে মোস্ট ওয়েলকাম ২ মুক্তি পাওয়ার পর “দি স্পাই ও সৈনিক নামে দুটি ছবি করার ঘোষনা দিয়েছিলেন অনন্ত জলিল । এখনও ছবি দুটির শুটিং শুরু হয়নি ।



(১৬) “দি স্পাই” ও “সৈনিক” ছবি দুটি করার ঘোষনা দেওয়ার  পর আনন্ত স্ত্রী বর্ষাকে নিয়ে ওমরাহ পালন করেন।এবং পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারে মনোযোগী হয়ে যান । কয়েক বছর তিনি নিয়মিত নামাজ ও তাবলিগ-জামাতে অংশ নেন নিয়মিত।অনন্ত জলিলের জীবন ধারায় এমন পরিবর্তন দেখে সেখানে উপস্থিত অনেকেই অবাক হন।



(১৭) চার বছর পর আবার চলচিত্র ফিরেছেন অনন্ত । অনন্ত জলিলের নতুন ছবি দিন দা ডে বাংলাদেশের চলচিত্র  ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট ১০০ কোটি টাকার ছবি যার কিছু শোটিং আটকে আছে করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাবের কারনে । ছবিটি ২০২০ এর কোরবানীর ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ।



(১৮) মোস্ট ওয়েলকাম ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছিবির জন্য ২০১২ ও ২০১৩ সালে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারএ সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে মনোনিত হলেও বিজয়ী হতে পারেন নি ।



(১৯) আনন্তের প্রযোজনা প্রতিষ্টান “ মুনসুন ফিল্মস প্রোডাকশন” এখন পর্যন্ত অনন্ত ও বর্ষা জুটি ব্যাতিত চলচিত্রের কোন নায়ক নায়িকাকে নিয়ে কোন ছবি তৌরি করেন নি যার আবসান হচ্ছে নিরব ও হিরো আলমকে নিয়ে নির্মিত চলচিত্রের মাধ্যমে । অনন্ত জলিল ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত মানুষ মানুষের জন্য আনুষ্টানে  এই দুই জনকে পরবর্তী ছবির জন্য সাইন করানো হয় । “ মুনসুন ফিল্মস প্রোডাকশন” এর ব্যানারে প্রতিবছর বানিজ্যিক ধারার ছবি করারও ঘোষনা দেন ।



২০) আপনি কি জানেন এই তারকা প্রথম হলে বসে সালমান শাহ এবং মৌসুমি অভিনীত কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমাটি দেখেন ।



২১)পছন্দের নায়কের তালিকায় রয়েছে হলিউডের সুদর্শন হিরো টম ক্রুজ। এক সাক্ষাৎকারে অনন্ত বলেন, তার(টম ক্রুজ) সঙ্গে ইচ্ছা করলেই দেখা করতে পারি। দেখা হলে বলতাম, ‘ইউ আর মাই আইকন অ্যান্ড আই অ্যাম আ বিগ ফ্যান অব ইউ। দ্য শট অব “বুর্জ খলিফা” হুইচ ইউ ডিড ইন মিশন ইম্পসিবল ফোর ইজ রিয়েলি অসাম।’



২২) অনন্ত কখনোই সুপারহিরোর চরিত্রে অভিনয় করতে চান না বরং তিনি জেমস বন্ডের চরিত্রের প্রতি রয়েছে বিষন দুর্বলতা। তিনি বলেন,সুপারহিরোর চরিত্র চাই না। আই লাভ জেমস বন্ড জিরো জিরো সেভেন, কজ অব মাচ অ্যাকশন অ্যান্ড মিশন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ