ইয়াশ রোহান এর জীবন কাহিনী - Yash Rohan Life Story
ইয়াস রোহান একজন জনপ্রিয় অভিনেতা,
মডেল এবং পরিচালক । খুব অল্প সময়ে তিনি এদেশের
সকল শ্রেনীর দর্শকদের কাছে একজন ইয়ং টেলেন্টেড অভিনেতা হিসাবে নিজের যোগ্যতার প্রমান
রেখেছেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন যার সফলতা আকাশ ছোয়া । হাতে গোনা কিছু টিভিসি
এবং অনেকগুলো কোয়ালিটি নাটক, টেলিফ্লিম, সটফ্লিম উপহার দিয়েছেন দর্শকদের এবং সম্প্রতি
লেখক নাট্যকার
ও চলচিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দীন সেলিমের “স্বপ্নজাল” চলচিত্রের মাধ্যমে প্রথম রুপালি পর্দায় নায়ক হিসাবে পা
রাখেন এবং ছবিটি সুপারহিট হয় এবং তার সাবলিল অভিনয় দেখে সকল
শ্রেনীর দর্শক, সমালোচকরা ব্যাপক প্রসংশা করেন ।
ইয়াসের পুরো নাম ইয়াস রোহান সোনাই
। তবে তিনি ইয়াস রোহান নামেই সবার কাছে পরিচিত । ইয়াসের জন্ম ঢাকা শহরের
আরামবাগ এলাকার ১টি সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে । ইয়াশের
বাবা হচ্ছেন গুনী নাঠ্যকার নির্মাতা অভিনেতা নরেশ ভূইয়া এবং মা অভিনেত্রী শিল্পী
সরকার অপু। পাচঁ বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে ইয়াশ ২য় । ছোট বেলা থেকেই ইয়াশ খুব শান্ত
স্বভাবের ছিলেন যাকে বলে বালা হত বাবা মায়ের সহজ সরল লক্ষী ছেলে । যেহেতু
সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম তাই বাবা মায়ের হাত ধরেই অভিনয়ের হাতেখড়ি ছোট বেলা থেকেই
। তখন খুব ভাল নাচ করতেন এবং কোন অনুষ্টান হলেই সেখানে অভিনয় করতেন । তবে বড় হয়ে কখনো অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন নি
ইয়াশ । একটা সময় স্বপ্ন দেখতেন ফিজিসিস্ট হবেন এবং পরবর্তীতে স্বপ্ন দেখতেন
পরিচালক হবেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়েগেলেন পুরুদস্তুর অভিনেতা তার মতে তিনি একজন
এক্সিডেন্টাল এ্যাকটর । তবে তার এতদূর আসার পিছনে বাবা মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি । যদিও
নিজেকে এক্সিডেন্টাল এ্যাকটর বলেন ইয়াশ কিন্ত ইতিমধ্যে অভিনয়টাকে নিজের মাঝে
আত্তস্ত করে নিয়েছেন যার প্রমান পাওয়া যায় তার কাজের মধ্যে । নিজেকে যে কোন
চরিত্রে উজাড় করে ভেতর থেকে অভিনয়টা বেরকরে নিয়ে আসেন এই অভিনেতা এবং তার সাদাসিধে
ন্যাচালান বাস্তিবিক অভিনয় মানের জন্য এখন উদীয়মান অভিনয় তারকাদের মধ্যে হটলিস্টে
রয়েছে ইয়াসের নাম এবং ইয়াসের সিডিউল পাওয়ার জন্য দেশের সব বড় বড় নাট্যকার এবং সিনেমার
পরিচালকরা সিডিউল হাতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে । বর্তমানে ইয়াশ
ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এ ফাইনাল ইয়ারে পড়ছেন । ছয় মাস পর
গ্যাজুয়েশান কমপ্লিট হবে ।
আমাদের বিজয় নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে
প্রথম টিভি স্কিনে দেখা যায় ইয়াশকে । এর
পর অনেকগুলো নাটক এবং টিভিসিতেও কাজ করেছেন যার প্রতিটিতেই তার সুঅভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন থেকেই—সিলভার স্কিনে
আসার আগে ২০১৫ সালে ইয়াস ‘ডুব’ নামের একটি সটফিল্ম পরিচালনা করেছিলেন এবং নিজে ও
অভিনয় করেছিলেন সেই সটফিল্মে এবং ২০১৬ সালে আরও একটি সর্টফিল্ম “দি রেড নোট”
পরিচালনা করেন যাতে অভিনয় করেন তার বাবা ও মা দুজনেই । ৬ এপ্রিল ২০১৮ সালে সিনেমার
নায়ক হিসাবে প্রথম পর্দায় হাজির হন চিত্রনায়িকা পরিমনীর বিপরীতে গিয়াস উদ্দীন
সেলিমের “স্বপ্নজাল” চলচিত্রের মাধ্যমে। এই চলচিত্রে ‘অপু’ চরিত্রটিতে তার অসাধারন
সাবলিল অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করে । এই চলচিত্রে দূদার্ন্ত পারফরমেন্সের কারনে বেশ
কয়েকটি সিনেমার অফারও পেয়েছেন ইয়াশ । এদিকে ১৩ সেপ্টেম্বর পরিচালক অরুণ চৌধুরীর
পরিচালনায় ইয়াশের আরেকটি সিনেমা ‘মায়াবতী’ মুক্তি পেয়েছে এবং এই ছবিতে ইয়াসের
নায়িকা ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা । ইয়াশ ত্রিশা এক সাথে অনেকগুলো নাটকে অভিনয়
করেছেন এবং বড় পর্দায় এটাছিল তাদের প্রথম ছবি যাতে দুজনের ক্যামেস্ট্রি খুব ভালছিল
এবং ছবিটি রিলিজের পর থেকে অনেক প্রসংশা কুড়াচ্ছে । এছাড়াও অরুন চৌধুরীর ‘চেহারা
ছবি” নামের আরও একটি সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ইয়াশ । এছাড়াও রায়হান রাফী
ইয়াস এবং বিদ্যাসিনহা মীমকে নিয়ে তৈরি করছেন সিনেমা “পরান” ইতিমধ্যে ছবিটির শুটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে ।
এছাড়াও মিসওয়াল্ড ঐশ্বীর সাথে “আদম” নামের আরেকটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন ইয়াস যার
পরিচালক আবু তৌহিদ হিরন । ইয়াসের
ন্যাচারাল এবং দূদান্ত অভিনয় মানের জন্য ভালভাল ছবিতে কাজের ডাক পাচ্ছেন যা আপনারা
ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন । আমরা আশাবাদী বাংলা চলচিত্র আরও একজন পারফেকশানিস্ট
অভিনেতাকে পেতে চলেছে । এই যাত্রা অবিরাম চলুক এমনটাই প্রত্যাশা সবার ।
আবসর সময়ে ইয়াশ প্রচুর মুভি দেখেন,
বই পড়েন এবং মায়ের সাথে আড্ডা দিতে পছন্দ করেন । হিলিউডের সব নামকরা ডিরেক্টরদের
ভক্ত ইয়াশ । তার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান্ড, ডেভিট ফিনচার,
কোয়নটিক টেরিনটিনার মত পরিচালকের নাম এবং বলিউডের রাকেশ অমপ্রকাশ মেহরা এবং
ইমতিয়াজ আলীর সিনেমারও ভিষন ভক্ত ইয়াশ ।
ইয়াসের সাদামাটা স্মার্ট এন্ড এট্রাকটিভ লুক, ইউনিক এবং দূর্দান্ত বাস্তবিক
অভিনয় মানের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এবং
কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। লাইফ স্টোরি বাঙলার পক্ষ থেকে তার ভবিষ্যত সাফল্য ও
দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ভিডিওটি ভাল লাগলে অবশ্যই একটা
লাইক দিবেন কারন এটাই হলো আমার অনুপ্রেরনা....এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।
পরবর্তীতে কার জীবন কাহিনী দেখতে চান তা কমেন্টে জানাবেন । সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
।
0 মন্তব্যসমূহ